জুস এবং শরবতের রেসিপি- মেগা টিউন
জুস এবং শরবতের রেসিপিঃ জুস আমাদের সবার অনেক প্রিয়।গরমে তৃষ্ণা মেটাতে জুসের বিকল্প নেই।আমি নাহিদা ইসলাম আজ আপনাদের জন্য অসাধারণ দশ রকমের জুস নিয়ে হাজির।দেরি না করে ঝটপট জেনে এই গরমে তৃষ্ণা মেটান।
জুস এবং শরবতের রেসিপি
কাচা আমের জুসঃ
কাচা আমের জুস অনেক স্বাস্থ্য সম্মত একটি খাবার এবং খুব কম সময়ে এই জুস টি তৈরি করা যায়।চলুন তাহলে কি কি লাগছে জুস বানাতে।
কাচা আমের জুস উপকরণঃ
- কাচা আম – ২ টি
- চিনি – ২ টেবিল চামচ
- বিটলবণ – ১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ – ১ টি
- বরফ টুকরো – কয়েক টি
- ধনিয়া/ পুদিনাপাতা- সামান্য
কাচা আমের জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
আম ছিলে টুকরো করে সব উপকরণ গুলো ব্লেন্ডারে পরিমাণ মতন পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুণ।
পাকা আমের জুসঃ
পাকা আমের জুস ছোট বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। পাকা আমের জুস করতে যা যা লাগছে।
পাকা আমের জুস উপকরণ :
- পাকা আম – ১ কাপ
- চিনি সামান্য
- বরফ কুচি – ১ কাপ
- নরমাল পানি
পাকা আমের জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
ব্লেন্ডারে সব উপকরণ এক সাথে করে ব্লেড করে পরিবেশন করুন।
তরমুজের জুস:
তরমুজ জুস তৈরি করতে যা যা লাগছে।
তরমুজের জুস উপকরণঃ
- পাকা তরমুজ – ২ কাপ
- চিনি সামান্য
- বিটলবণ (অপশনাল)
- পানি – পরিমাণ মতন
- বরফ টুকরো/ঠান্ডা পানি
তরমুজের জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
সব ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে পরিবেশন করুন।
তেঁতুলের শরবত জুসঃ
শরবত টি তৈরি করতে যা যা লাগছে।
তেঁতুলের শরবত জুস উপকরণঃ
- তেঁতুলের মাড় – ১ কাপ
- চিনি – রুচি মতো
- বিটলবণ – ১ চা চামচ
- লবণ – সামান্য
- কাঁচামরিচ – ২ টি
তেঁতুলের শরবত জুস প্রণালীঃ
তেঁতুলের বিচি ছাড়িয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে মাড় তৈরি করে উপরের সব উপকরণ এর সাথে পরিমাণ মতন পানি মিক্স করে ব্লেন্ডারে বা হাত দিয়ে কাচলিয়ে এই শরবত টি তৈরি করতে পাড়েন।
বেলের জুসঃ
দেহের কোষ্ঠ কাঠিন্যতা দূর করতে বেলের ভূমিকা অপরিসীম। বানাতে অনেক ইজি মাত্র দুইটি উপকরণ দিয়ে এই শরবত তৈরি করা যায়।
বেলের জুস উপকরণঃ
- পাকা বেল – ১ টি
- চিনি – ৪ চা চামচ
- পানি – দুই গ্লাস
বেলের জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
বেল আশ ছাড়িয়ে চিনি সাথে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে কিছু সময় পর হাত দিয়ে চটকিয়ে ছেঁকে পরিবেশন করুন।চাইলে না চটকিয়ে ব্লেন্ডারে বানাতে পাড়েন।
ফ্রুটস জুসঃ
খুবি এনার্জি টিক জুস হলো ফ্রুটস জুস।যা আমাদের দেহের পুষ্টি ও ভিটামিন পূরণ করে।
ফ্রুটস জুস উপকরণঃ
- ডালিম, আঙুর,কমলা- ১ কাপ
- বরফ কুচি – কয়েক টুকরো
- রুহ আফজা – ১ চা চামচ
- পানি – পরিমাণ মতন
ফ্রুটস জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
যে কোন কয়েক প্রকার ফল এবং উপরের উপাদান গুলো মিক্স করে ব্লেন্ড করে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
শসার জুসঃ
যারা ডায়েট করে থাকে তাদের জন্য শসার জুস খুব উপযোগী।
শসার জুস উপকরণঃ
- খোসা সহ শসা – ১ কাপ
- লেবুর রস – ১ টি
- পুদিনাপাতা – কয়েকটি
- বিটলবণ – হাফ চা চামচ
শসার জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
সব উপকরণ গুলো পরিমাপ অনুযায়ী পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে গ্লাসে পরিবেশন করুন।
পেঁপের জুসঃ
স্বাস্থ্য সম্মত পেঁপের জুস তৈরি করতে যা যা লাগছে।
পেঁপের জুস উপকরণঃ
- পাকা পেঁপে – কয়েক টুকরো
- চিনি – সামান্য
- পানি – কয়েক গ্লাস
পেঁপের জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
পাকা পেঁপে চিনি, পানি মিক্স করে ব্লেন্ড করে গ্লাসে পরিবেশন করুন।পেঁপের জুস ছাকনি দিয়ে ছাকার প্রয়োজন নেই।
আনারসের জুসঃ
আনারসের জুস বানাতে যা যা লাগছে।
আনারসের জুস উপকরণ :
- পাকা আনারস টুকরো – ১ কাপ
- চিনি – সামান্য
- লবণ/বিটলবণ – সামান্য
- কাসুন্দি – ১ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ – ১ টি
আনারসের জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
সব উপকরণ একসাথে পানি সহ ব্লেন্ড করে ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
কমলার জুসঃ
দেহে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে কমার জুস অনেক স্বাস্থ্য সম্মত ও দেহের নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
কমলার জুস উপকরনঃ
- কমলা/মালটা – কয়েকটি
- বিটলবণ – সামান্য
- চিনি – অপশনাল
কমলার জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
কমলার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে সব দিয়ে পরিমাণ মতন পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
যে কোন জুস সব সময় ঠান্ডা পানি বা বরফ কুচি দিয়ে বানাতে চেস্টা করবেন।কিন্তু যাদের ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা আছে তারা বরফ বাদ দিয়ে নরমাল পানি দিয়ে খাবেন।